ওয়েব ডেস্ক: কর্নাটকের কুরসি নিয়ে কোন্দল। সেই সমস্যা মিটেও মিঠছে না। শনিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) সঙ্গে হাসিমুখে জলখাবার খেলেন উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার (DK Shivakumar)। তার পরে কিছুক্ষণ বৈঠকও করলেন। শেষে সাংবাদিক সম্মেলন। আমাদের কোনও সমস্যা নেই, সাংবাদিকদের মুখোমুখী দুজনেই জানালেন। কিন্তু এরপরও অস্বস্তি রয়েই গেল।
সিদ্দারামাইয়া-শিবকুমার দ্বন্দ্বের বীজ পোঁতা হয়েছিল ২০২৩ সালে নির্বাচনের সময় থেকেই। বিপুল ভোটে জিতে কর্নাটকে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। কিন্তু কুর্সির দখল নিয়ে শুরু হয় দড়ি টানাটানি। সিদ্দারামাইয়া নাকি দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া শিবকুমার? কে হবে মুখ্যমন্ত্রী? কার হাতে যাবে কর্নাটকের ক্ষমতা তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। সকলেই মেনে নেন কর্নাটকের (Karnataka) জয়ের পিছনে শিবকুমারের ভূমিকা ছিল অন্যতম। কিন্তু তার পরেও মুখ্যমন্ত্রী হন সিদ্দারামাইয়া। শোনা যায়, কংগ্রেস হাই কম্যান্ড নাকি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দু’জনের মধ্যে আড়াই বছর করে ভাগ করে দিয়েছিলেন। আড়াই বছর পূর্ণ হতেই কুর্সির দাবি জানাতে শুরু করেন শিবকুমার। কিন্তু সিদ্দারামাইয়া পদ ছাড়তে নারাজ। এখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করতে দিল্লিতে কংগ্রেস হাই কম্যান্ডের সঙ্গে দেখা করে আসেন বিধায়কদের একাংশ।
আরও পড়ুন:সামরিক শক্তিতে তৃতীয় ভারত! পাকিস্তানের স্থান কোথায়?
গত কয়েক দিন ধরেই কর্নাটক কংগ্রেসের অন্দরে দড়ি টানাটানি চলছে। কর্নাটকের অধুনা উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি উঠেছে দলের অন্দরেই। কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে সিদ্দারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমারের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে অসন্তুষ্ট কংগ্রেসের হাইকমান্ড (Congrees High Commands)। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে দেখে হস্তক্ষেপ করেন হাই কম্যান্ডও। দুই গোষ্ঠীকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ১ ডিসেম্বর থেকে লোকসভার অধিবেশন শুরু আগেই ঝামেলা মেটাতে হবে। এমনকি ব্রেকফাস্টের টেবিলে আলোচনা করে দ্বন্দ্ব মেটানোর নির্দেশও দেওয়া হয় বলে শোনা গিয়েছে। এর পরেই এ দিন সিদ্দারামাইয়ার বাড়িতে যান শিবকুমার। দু’জনে একসঙ্গে ব্রেকফাস্ট করেন। শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করেন একসঙ্গে। কংগ্রেস শিবিরে কোনও ভাঙন নেই, সেই বার্তা দিয়ে দুই নেতা বললেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। আমরা একসঙ্গে ছিলাম-আছি-থাকব।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ২০২৮ সালের বিধানসভা ভোট। এছাড়া পুরসভা-পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ কথা হয়েছে। ২০২৮ সালের ভোটেও যাতে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরে আসে, আমরা সে ব্যাপারে আলোচনা করেছি। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ডিকে শিবকুমারও বলেন, আমি কংগ্রেসের অনুগত সৈনিক। কংগ্রেস হাইকমান্ড ডাকলে আমি দিল্লি যাব। নেতৃত্ব নিয়ে দলের হাইকমান্ড যা ঠিক করে দেবে আমরা তাই করব। আশা করি ২০২৮ সালেও তারই পুনরাবৃত্তি হবে। প্রাতঃরাশের পর দুই নেতাই তাঁদের নিজস্ব হ্যান্ডলে ছবি পোস্ট করেন।
ಮಾನ್ಯ ಮುಖ್ಯಮಂತ್ರಿಗಳಾದ ಶ್ರೀ ಸಿದ್ದರಾಮಯ್ಯ ಅವರನ್ನು ಇಂದು ಅವರ ಕಾವೇರಿ ನಿವಾಸದಲ್ಲಿ ಭೇಟಿಯಾಗಿ ಉಪಾಹಾರ ಸಭೆ ನಡೆಸಲಾಯಿತು.
Met Hon’ble CM Shri @siddaramaiah avaru at Cauvery Residence this morning for a breakfast meeting. A productive discussion on Karnataka’s priorities and the road ahead. pic.twitter.com/qhe7q5RNvi
— DK Shivakumar (@DKShivakumar) November 29, 2025
শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে এক সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন ডিকে শিবকুমার। এই অনুষ্ঠানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিবকুমার বলেন, “২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর, যখন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালাম সোনিয়া গান্ধীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। সে সুযোগ তিনি গ্রহন করেননি, আত্মত্যাগ করেছিলেন। বরং মনমোহন সিংকে সেই প্রস্তাব দেন।শিবকুমারের এই বক্তব্যের সময় তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ফলে রাজনৈতিক মহলের দাবি, আসলে সোনিয়ার উদাহরণ টেনে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন শিবকুমার।
অন্য খবর দেখুন







